অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Nivedita, Sister
ভগিনী নিবেদিতা

ভগিনী নিবেদিতা (প্রকৃত নাম: মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল); ২৮ অক্টোবর, ১৮৬৭ – ১৩ অক্টোবর, ১৯১১) ছিলেন একজন অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভুত সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন শহরে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের সাক্ষাৎ পান এবং ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে চলে আসেন। একই বছর ২৫ মার্চ তিনি ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করলে স্বামী বিবেকানন্দ তার নামকরণ করেন "নিবেদিতা"।
ভগিনী নিবেদিতার জন্ম হয় উত্তর আয়ারল্যাণ্ড। তিনি তার পিতা স্যামুয়েল রিচমণ্ড নোবেলের নিকট এই শিক্ষা পান যে, মানব সেবাই ঈশ্বর সেবা। পিতার কথা তার পরবর্তী জীবনেও গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। তিনি সঙ্গীত ও শিল্পকলার বোদ্ধা ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দশ বছর তিনি শিক্ষকতা করেন। শিক্ষিকা হিসেবে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শিক্ষকতা করতে করতেই তিনি বুদ্ধের শিক্ষা সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই সময়ই স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। বিবেকানন্দের বাণী তার জীবনে এতটাই গভীর প্রভাব বিস্তার করে যে, তিনি ভারতকে তার কর্মক্ষেত্ররূপে বেছে নেন। তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য নারী যিনি ভারতীয় সন্ন্যাসিনীর ব্রত গ্রহণ করেছিলেন।
১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে তিনি কলকাতায় একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি নানা মানবকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সকল বর্ণের ভারতীয় নারীর জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জগদীশচন্দ্র বসু ও তার স্ত্রী অবলা বসু, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ওকাকুরা কাকুজো প্রমুখ তৎকালীন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছিলেন নিবেদিতার বন্ধুস্থানীয়। রবীন্দ্রনাথ তাকে "লোকমাতা" আখ্যা দেন। ভারতীয় শিল্পকলার সমঝদার নিবেদিতা ভারতের আধুনিক চিত্রকলার সৃজনে অন্যতম অনুপ্রেরণার কাজ করেন। নন্দলাল বসু এই কথা একাধিকবার স্মরণ করেছেন। জীবনের শেষ পর্বে নিবেদিতা স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। শ্রীঅরবিন্দের সঙ্গে তার সখ্যতা স্থাপিত হয়। এই সময় ব্রিটিশ সরকার যাতে রামকৃষ্ণ মিশনকে অযথা উত্ত্যক্ত না করে, সেই কথা ভেবে মিশনের সঙ্গে তিনি তার "আনুষ্ঠানিক" সম্পর্ক ত্যাগ করেন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ